চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ মানপুর আক্রমন করে মানপুরের রাজা অমোঘবর্ষকে পরাজিতকরে তাঁর কন্যা কৃষ্ণাকে হরন করে আনলেন বিবাহের উদ্দেশ্যে। মানপুর খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার, খনিজের লোভে মানপুর আক্রমণ করেছিলেন কীর্তিবর্মণ, মানপুরের সেনা পরাজিত হয়ায় মানপুরের দুর্গে ঢুকেপড়ে চলুক্য সেনা। কীর্তিবর্মণ অমোঘবর্ষকে প্রানে মারার আদেশ দিয়েদিয়েছেন, এমন সময় অমোঘবর্ষ-র কন্যা কৃষ্ণা কীর্তিবর্মণের কাছে তার পিতার প্রান ভিক্ষা করলো। রাজকুমারি কৃষ্ণা অতিব সুন্দরী, তার রূপে মুগ্ধ হয়ে অমোঘবর্ষকে মুক্ত করার আদেশ দিলেন কীর্তিবর্মণ, কিন্তু মানপুরকে রাষ্ট্রকূটের আণুগত্য ত্যাগ করে চালুক্যের আণুগত্য স্বীকার করতে হবে এবং কৃষ্ণাকে কীর্তিবর্মণের সাথে বিবাহ করতে হবে। অমোঘবর্ষ প্রস্তাবে রাজী না হয়ায় অমোঘবর্ষকে হত্যা করে কৃষ্ণাকে হরণ করে নিয়ে যান কীর্তিবর্মণ। কীর্তিবর্মণ জিঞ্জির দিকে রওনা দেন। জিঞ্জি হল চালুক্য সাম্রাজ্যের রাজধানি। জিঞ্জি কে প্রাচ্যের “ট্রয়” বলাহয়, কোনও সেনা জিঞ্জির দুর্গ ভেঙে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। জিঞ্জি ফিরে কীর্তিবর্মণ শুনলেন রাজ জ্যোতিষী দেহ রেখেছেন। রাজ জ্যোতিষী না থাকায় কৃষ্ণার সাথে বিবাহ স্থগিত থাকল এবং নতুন রাজ জ্যোতিষীর সন্ধান শুরু হল। সকলের বহু প্রচেষ্টা সত্তেও নতুন রাজ জ্যোতিষী খুঁজে পাওয়া গেলনা। অবশেষে আগামি শীব রাত্রির দিন কীর্তিবর্মণ ও কৃষ্ণার বিবাহের দিন ঠিক হল। দেশ-বিদেশ থেকে রাজারা আমন্ত্রিত হলেন, বিবাহ সম্পন্য হল। বিবাহের পরদিন কীর্তিবর্মণ খবর পেলেন রাজ জ্যোতিষীর সন্ধান পাওয়াগিয়েছে। রাজা আবিলম্বে তাঁকে রাজসভায় আনার আদেশ দিলেন। জ্যোতিষী রাজা ও রানিকে পাশাপাশি দেখে বলে উঠলেন ঘোর অনর্থ হয়েগিয়েছে,এ বিয়ে উচিত হয়নি। পাত্রর বৃশ্চিক রাশি ও কন্যার মকর রাশি, শ্যাম বেদ মতে বৃশ্চিক ও মকর রাশির বিবাহের ফলে জন্মনেওয়া নবজাতক, পিতা ও বংশের ধ্বংসের কারন হয়। এ বিবাহ উচিত হয়নি। জ্যোতিষীর কথা শুনে রাজা ও রানি উভয়ের মন ভেঙে গেল। রাজা জ্যোতিষী কে বললেন “কোনও উপায়?” জ্যোতিষী বললেন “একমাত্র উপায় সন্তান লাভের আশা ত্যাগ করা।“ রাজা কীর্তিবর্মণ জ্যোতিষীর কথা শুনে রানির জন্য প্রধান দুর্গের ঠিক বিপরীতে আর একটি দুর্গ নির্মাণের আদেশ দিলেন এবং রানির থাকার বন্দোবস্ত সেখানেই করলেন।
একমাস কেটে গেল, রানি রাজা কে ডেকে পাঠালেন, এবং তাঁর মনের কথা খুলে বললেন। সকল স্ত্রী-র মত তিনিও তাঁর স্বামীর থেকে সন্তান লাভের আশা রাখেন, তাঁর মনও চায় মা ডাক শুনতে, জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে এভাবে নিজেদের দাম্প্ত্য নষ্ট করা তাঁর কাছে অযৌক্তিক। রাজা কীর্তিবর্মণ কোনও উত্তর দিতে পারলেননা। ওইদিনের মত তিনি রানির থেকে মুখ লুকিয়ে পালালেন। নিজের রাজসভায় ফিরেগেলেন ঠিকই কিন্তু রানির কথাগুল বার বার তাঁর কানে বাজতে লাগল।
কিছুদিন পর রানি আবার ডেকে পাঠালেন রাজাকে, এবং বললেন যদি তিনি তাঁকে সন্তান উপহার দিতে পারবেননা তাহলে তাঁকে বিয়ে কেন করলেন? এই জীবনের থেকে তিনি সারাজীবন দাসী থাকতে পছন্দ করতেন। রাজা কীর্তিবর্মণ নিরুপায় হয়ে রানিকে বললেন তিনি তাঁকে মুক্তি দিলেন, রানি মানপুরে ফিরে যেতে পারেন, এবং নিজের পছন্দের কোনও পুরুষের সাথে বিবাহ করেতে পারেন। রানি তাঁকে বললেন চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ মানপুরের রাজকুমারিকে হরণ করে বিবাহ করেছে সারা বিশ্বের লোক একথা জানে, এমন নারী কে বিবাহ করবে? রাজা আবার নির্বাক।
রাজার মুখে একফোঁটা হাঁসি নাই, সবসময় মনমরা, শরীর ভেঙে যেতে লাগল, রাজ কাজে মন নাই। এমন সময় রানি আবার ডেকে পাঠালেন রাজা কে। রানি রাজা কে বললেন যদি চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ নিজের সিদ্ধান্তে আঁটল থাকেন তাহলে তাঁর পক্ষে আর বেসিদিন নিজেকে বাঁচিয়েরাখা সম্ভব হবেনা,সেক্ষেত্রে এক মহিলার মৃত্যুর কারন হবেন চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ। চালুক্য সম্রাটের কারনে কোনও মহিলার প্রান যাওয়া খুব নিন্দনীয় বলে গন্য করা হয় চালুক্য সমাজে। কোনও পথ খুজে না পেয়ে রানির কক্ষে নিজের তলোয়ারের আঘাতে ওখানেই আত্মহত্যা করলেন।
জিঞ্জির সিংহাসন এখন শুন্য। পরদিন জিঞ্জিতে রাষ্ট্রকূটের সেনা আক্রমণ করলো, তাদের সেনাপতি জিঞ্জির রাজ জ্যোতিষী।
একমাস কেটে গেল, রানি রাজা কে ডেকে পাঠালেন, এবং তাঁর মনের কথা খুলে বললেন। সকল স্ত্রী-র মত তিনিও তাঁর স্বামীর থেকে সন্তান লাভের আশা রাখেন, তাঁর মনও চায় মা ডাক শুনতে, জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করে এভাবে নিজেদের দাম্প্ত্য নষ্ট করা তাঁর কাছে অযৌক্তিক। রাজা কীর্তিবর্মণ কোনও উত্তর দিতে পারলেননা। ওইদিনের মত তিনি রানির থেকে মুখ লুকিয়ে পালালেন। নিজের রাজসভায় ফিরেগেলেন ঠিকই কিন্তু রানির কথাগুল বার বার তাঁর কানে বাজতে লাগল।
কিছুদিন পর রানি আবার ডেকে পাঠালেন রাজাকে, এবং বললেন যদি তিনি তাঁকে সন্তান উপহার দিতে পারবেননা তাহলে তাঁকে বিয়ে কেন করলেন? এই জীবনের থেকে তিনি সারাজীবন দাসী থাকতে পছন্দ করতেন। রাজা কীর্তিবর্মণ নিরুপায় হয়ে রানিকে বললেন তিনি তাঁকে মুক্তি দিলেন, রানি মানপুরে ফিরে যেতে পারেন, এবং নিজের পছন্দের কোনও পুরুষের সাথে বিবাহ করেতে পারেন। রানি তাঁকে বললেন চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ মানপুরের রাজকুমারিকে হরণ করে বিবাহ করেছে সারা বিশ্বের লোক একথা জানে, এমন নারী কে বিবাহ করবে? রাজা আবার নির্বাক।
রাজার মুখে একফোঁটা হাঁসি নাই, সবসময় মনমরা, শরীর ভেঙে যেতে লাগল, রাজ কাজে মন নাই। এমন সময় রানি আবার ডেকে পাঠালেন রাজা কে। রানি রাজা কে বললেন যদি চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ নিজের সিদ্ধান্তে আঁটল থাকেন তাহলে তাঁর পক্ষে আর বেসিদিন নিজেকে বাঁচিয়েরাখা সম্ভব হবেনা,সেক্ষেত্রে এক মহিলার মৃত্যুর কারন হবেন চালুক্য রাজ কীর্তিবর্মণ। চালুক্য সম্রাটের কারনে কোনও মহিলার প্রান যাওয়া খুব নিন্দনীয় বলে গন্য করা হয় চালুক্য সমাজে। কোনও পথ খুজে না পেয়ে রানির কক্ষে নিজের তলোয়ারের আঘাতে ওখানেই আত্মহত্যা করলেন।
জিঞ্জির সিংহাসন এখন শুন্য। পরদিন জিঞ্জিতে রাষ্ট্রকূটের সেনা আক্রমণ করলো, তাদের সেনাপতি জিঞ্জির রাজ জ্যোতিষী।
প্রাচ্যের ট্রয় ও পাশ্চাত্যের মত প্রতারণায় ধংস হল ।।
:*** সব চরিত্র কাল্পনিক , বাস্তব ইতিহাসের সাথে কোনও সম্পর্ক নাই।।
Comments
Post a Comment